বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য অনেক মাধ্যম রয়েছে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সেরা ৬টি মাধ্যম নিয়ে আজ আমরা কথা বলব। Paypal to Bkash, International Payment.
তার মধ্যে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ। বিকাশ ব্যবহার করে খুব সহজেই বিদেশি টাকা বাংলাদেশে পাঠানো যায়। কিন্তু বিকাশে হাজার প্রতি কাশ আউট চার্জ থাকায় বেশ ভালো পরিমাণের টাকা খরচ হয়ে যায়।
এজন্য অনেকেই অন্য মাধ্যম ওয়েস্টার্ন, ওয়াইজ, রেমিটলি ইত্যাদি পরিসেবা ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সেরা ৬টি মাধ্যম সম্পর্কে।
বিকাশ – Bkash
বাংলাদেশে বিকাশের জনপ্রিয়তা এও বেশী বে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সব থেকে সহজ মাধ্যম হল বিকাশ। বিকাশ Student একাউন্ট খোলার নিয়ম (বোনাস সহ)। এটি বাংলাদেশের পাশাপাশি বাহিরের দেশ থেকেও টাকা লেনদেনর সুবিধা প্রদান করে থাকে। অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত যে কোন আন্তর্জাতিক ব্যাংক, টাকা ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন এবং টাকা এক্সচেঞ্জ অফিস গুলো থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো যায় বিকাশের মাধ্যমে।
তবে বিকাশে প্রতি হাজারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা চার্জ কেটে থাকে। বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে শুধু বিকাশ নাম্বার টা দিলেই বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো যায়। নগদ কেন বিকাশের থেকে এগিয়ে?
ওয়াইজ – Wise
এটা যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশের সাথে মানি ট্রান্সফার, এক্সচেঞ্জ করে থাকে। ওয়াইজ হল বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর অন্যতম নিরাপদ একটা মাধ্যম। ২০১৯ সালে এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং বর্তমানে এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২০ মিলিয়ন এর বেশি। সবথেকে কম রেটে যেকোনো ব্যাংক থেকে ওয়াইজ ব্যবহার করে টাকা পাঠানো যায়
অনেক গুলো দেশ থেকে ওয়াইজ ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত বাংলাদেশী ব্যাংকে নিরাপদে টাকা অনা যায়। বর্তমানে লোকাল এজেন্ট হিসেবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও বিকাশ ব্যবহার করে থাকে ওয়াইজ। তাছাড়াও ওয়াইজ ব্যবহার করে টাকা পাঠালে সরকারের ২.৫% রেমিট্যান্স প্রনোদনা পাওয়া যায়। পেপাল থেকে বিকাশ
ওয়াইজ এর মাধ্যমে খুব সহজেই ইউরোপ, আমেরিকা ও আরব আমিরাত সহ বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা পাঠানো যায়। এছাড়াও খুব সহজেই মোবাইল এ ওয়াইজ আপস ইন্সটল করে ব্যালেন্স চেক করা সহ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। আর খুব সহজেই পাসপোর্ট ব্যবহার করে ওয়াইজ একাউন্ট খোলা মন যায়। একাউন্ট খুলতে ওয়াইজ মোবাইল আপস ইন্সটল করে নাম, মোবাইল নাম্বার, জন্ম তারিখ, ইমেইল ইত্যাদি ব্যাক্তিগত তথ্য দিয়ে সাবমিট করুন। অথবা ওয়াইজ এর যে কোন শাখা থেকে বিদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার একাউন্ট ওপেন করে নিন।
Western Union
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা আনার আরেকটি জনপ্রিয় অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন। এদের মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে খুব সহজেই বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা আনা যায়। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ব্যবহার করে বিদেশ থেকে টাকা আনা খুবই সহজ। বর্তমানে
দেশি বিদেশী সব ব্যাংকেই প্রায় ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন সাপোর্ট করে। তাই যে দেশ থেকে টাকা পাঠাবে ওই দেশের মুদ্রা কে টাকায় রূপান্তর করতে হবে। বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংকেই ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন সাপোর্ট করে। যার কাছে টাকা পাঠানো হবে তিনি যথাযথ তথ্য দিতে পারলেই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন অ্যাকাউন্ট থেকে একজন ব্যক্তি নিজেই টাকা পাঠাতে পারেন। কিংবা এজেন্ট পয়েন্ট এ গিয়ে টাকা পাঠানোর সুযোগ রয়েছে।
রেমিটলি – Remitly
এটি একটি ডিজিটাল রেমিটেন্স সার্ভিস, যা রেমিটেন্স পাঠানোর সিস্টেম কে সহজ করে দেয়। অসাধারণ এক্সচেঞ্জ রেট এবং কম ফি এর মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করে রেমিটলি। এক্সপ্রেস এবং ইকোনমি দুটি উপায়ে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো যায়। এক্সপ্রেস এর সুবিধা হল দ্রুততম উপায় টাকা পাঠানো যায় এবং ইকোনমিক সুবিধা হল কম ফি চার্জ কেটে থাকে।
সোনালী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক ডাচ বাংলা ব্যাংক সহ বেশকিছু ব্যাংক রেমিটলির পার্টনার। এসব ব্যাংকে গিয়ে ফ্রী রিমেটলি একাউন্ট অপেন করা যায়।
স্ক্রিল – Skrill
স্ক্রিল যা বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের একমাত্র ভরসা। কেননা বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পেপালের কোন সেবা চালু করতে পারে নাই। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের টাকা দেশে আনার বা পেমেন্ট পাওয়ার যে ভোগান্তি তার অনেকাংশে দূর করা সম্ভব করেছে একমাত্র স্ক্রিল এর কল্যাণে। এছাড়াও সর্বোচ্চ পেমেন্ট এর দাবি দার ও স্ক্রিল। আর এই স্ক্রিল ব্যবহার করে খুব সহজেই বিদেশের টাকা বাংলাদেশে আনা যায়।
বিদেশ থেকে স্ক্রিল মোবাইল ওয়ালেট অথবা ব্যাংক একাউন্ট থেকে সরাসরি যে কোন দেশে টাকা লেনদেন করা যায়। পাঠানো টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। সারা বিশ্বব্যাপী স্ক্রিলের মিলিয়ন মিলিয়ন গ্রাহক রয়েছে। আর এই সেবা টা অনেকটা অনলাইন নির্ভর।
মানিগ্রাম – MoneyGram
বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে মানিগ্রাম খুব পরিচিত একটি নাম। মানিগ্রাম ব্যবহার করে খুব সহজেই বিদেশ থেকে টাকা বাংলাদেশে আনা যায়। সারা বিশ্বব্যাপী এদের চার লাখেরও বেশি এজেন্ট পয়েন্ট রয়েছে। মানিগ্রাম ব্যবহার করে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে আইডি কার্ড এবং টাকা নিয়ে যেতে হবে এজেন্ট দের কাছে।
বাংলাদেশ থেকে টাকা তুলতে একই রকম আইডি কার্ড এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে এজেন্ট থেকে টাকা তুলতে হবে। আর যদি মানিক গ্রাম ব্যবহার করে বিদেশ থেকে টাকা ব্যাংকে টান্সফার করা হয় সে ক্ষেত্রে ব্যাংকের নাম এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর প্রয়োজন হবে। টাকা ট্রানস্ফার হয়ে গেলে ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা হবে এবং মোবাইলে এসএমএস সেটা